উত্তর কোরিয়া আজ একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলেও সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী, এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফস অফ স্টাফ জানায় যে, তাদের ধারণা নিক্ষেপের অব্যবহিত পরই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়। তারা, পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ হামগিয়োন প্রদেশের শিনপোর অদূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এই নিক্ষেপ করা হয় বলে উল্লেখ করে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জাপান অভিমুখে উড়ে আসা কোন ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্ত করা হয়নি এবং এখনই দেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন কিছু গোচরীভূত হয়নি বলে উল্লেখ করে। উত্তর কোরিয়া, গত ৫ই এপ্রিল একই স্থান থেকে জাপান সাগর অভিমুখে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান যে, ৫ই এপ্রিল নিক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করতে সক্ষম স্কাড-ইআর হতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। কর্মকর্তাটি আরও জানান যে, নিক্ষেপের অব্যবহিত পর ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলা যাওয়ায় নিক্ষেপটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্রটি পুকগুকসং-২ নামে পরিচিত ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপ যোগ্য ভূমি ভিত্তিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা এসএলবিএম হতে পারে বলে জানায়। পুকগুকসং-২ নামে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্রটি, গতকাল দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের পিতামহ কিম ইল সুংএর ১০৫তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মত প্রদর্শন করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে নিবৃত্ত রাখতে উত্তর কোরিয়ার আরও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সতর্কতা বজায় রেখে চলেছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিকল্পটি উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না বলে জানায়।
উত্তর কোরিয়া, গতমাস থেকে আরম্ভ হওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান যৌথ সামরিক মহড়ার কঠোর বিরোধিতা প্রকাশ করে আসছে।