নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ইউএন ওমেন ‘প্লানেট ফিফটি-ফিফটি’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ বা ‘পরিবর্তনের অগ্রদূত’ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ নিজ ক্ষেত্রে নারী অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ মহাসচিবের স্ত্রী ইউ সুন টেক এবং মাল্টা’র প্রেসিডেন্ট ম্যারি লুই করেলিও এ সম্মাননা পেয়েছেন। গ্লোবাল উইমেন ফোরামের এ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গর্ব প্রকাশ করে জানান, বাংলাদেশই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে সরকার প্রধান থেকে সব গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় নেতৃত্ব দিচ্ছে নারীরাই।
জাতিসংঘের বিপরীতে অবস্থিত বহুতল ভবন ফিফটি ইউএন প্লাজার একটি মিলনায়তনে এ অ্যাওয়ার্ড গিভিং সিরিমনির আয়োজন করে গ্লোবাল উইমেন ফোরাম। নিজ নিজ অবস্থান থেকে নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাল্টার প্রেসিডেন্ট ম্যারি লুইস কলেরিও পেরেচা এবং জাতিসংঘের ফার্স্ট লেডি ইউ সুন টেকের হাতে আন্তর্জাতিক নারী ফোরামের পক্ষ থেকে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ শেষে এর পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশের জনগণের ওপর ন্যস্ত করেন শেখ হাসিনা। নিজের পরিবারের প্রতি অবিচার হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে সপরিবারে বাবা-মাকে হারিয়েও দমে যাইনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক দমন-পীড়ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অপশক্তির কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল আমাকে। এমনকি দেশে ফেরার পথ বন্ধ করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু আমরা জনগণের ক্ষমতার চর্চা করেছি দল থেকেই। সেই শক্তিই আমাকে আবার দেশের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।’ নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি নারীদের অগ্রযাত্রায় তার সরকারে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও স্পিকারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের প্রতিনিধিত্বের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
‘বাংলাদেশ সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, সংসদের স্পিকার এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আর স্বরাষ্টমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে নারীরাই’ গর্ব করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। জাতিসংঘের অধিবেশন চালাকালীন নারীদের এ সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বান কি মুনের সহধর্মিণী ও মাল্টার প্রেসিডেন্ট।