জাপানি খাদ্য ও পানীয় কোম্পানিগুলো, জুলাই মাসে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অথবা পরিমাণ হ্রাস করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তেইকোকু ডাটা ব্যাংক, সারাদেশের ১৯৫টি কোম্পানির উপর একটি সমীক্ষা চালায়। এতে বেসরকারি গবেষণা কোম্পানিটি দেখতে পায় যে, চলতি মাসের যে কোনো সময়ে ৩ হাজার ৫৬৬টি খাদ্যপণ্য ও পানীয়ের মূল্যবৃদ্ধি অথবা একই মূল্য রেখে পরিমাণ হ্রাস করা হবে। এসকল পণ্যের মধ্যে সম্প্রতি মূল্য বৃদ্ধি করে নেয়া পণ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।এই সমীক্ষায় দেখা যায় যে, আমদানিকৃত গমের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ১ হাজার ৫৭৮টি রুটি জাতীয় পণ্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। এগুলো, মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া পণ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ।৮শ ৩৬টি প্রক্রিয়াজাত ও ৬শ ১৯টি সস বা আচার জাতীয় খাদ্যপণ্যেরও মূল্যবৃদ্ধি করা হবে।আবার, তাজা দুধের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আগামী আগস্ট মাস থেকে দুগ্ধ জাতীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনাও করা হয়েছে।গবেষণা সংস্থাটির অনুমিত হিসেব অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরে প্রধানত অ্যালকোহল জাতীয় পণ্য’সহ ৩ হাজারের বেশি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে। প্রতিষ্ঠানটি এও বলছে যে এই সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।তেইকোকু ডাটা ব্যাংকের ভাষ্যানুযায়ী, চলতি বছর ২৯ হাজার ১০৬টি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে যা ইতোমধ্যে গত পুরো এক বছরের ২৫ হাজার ৭৬৮টিকে ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ৩৫ হাজারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।গবেষণা সংস্থাটির বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, কয়েকটি খাতে বিভিন্ন উপকরণের ব্যয়ের বোঝা হ্রাস পেলেও বিদ্যুৎ, শ্রমিক ও বিভিন্ন রসদের ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চমূল্য বজায় রয়েছে।তাদের ভাষ্যমতে, মূল্যবৃদ্ধির পরে কিছুসংখ্যক খাদ্যপণ্যের বিক্রি হ্রাস পেয়েছে, যা থেকে ভোক্তাদের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত অসহনীয়তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র: japantimes
ছবি সূত্র: japantimes