গত ১০ নভেম্বর, ২০১৯ এই বিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে জাপানস্থ কাওয়াসাকি সিটির বিভিন্ন পাবলিক হল ভাড়া করে প্রতি মাসে দুই রবিবারে ক্লাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসেবে আছেন ড. তপন পাল ও বনানী পাল, গানের শিক্ষিকা হিসেবে আছেন পলি সরকার ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক নীলাঞ্জনা দত্ত (ছুটি) এবং নাচের শিক্ষিকা হিসেবে আছেন কাকলী আক্তার। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে মোট ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে; এরা হলো ভাগ্যশ্রী পাল (তিথি), ইয়ুকি কুদ্দুস, তুষ্টি বণিক, মৃন্ময়ী পাল (শ্রেয়া), শ্রীদিকতা বাড়ৈ, শ্রেয়া পাল, ইয়ুতো কুদ্দুস, সিদ্ধার্থ পাল (রোহান), শৌর্য দত্ত (রিভু), শ্রেয়সী বাড়ৈ (শ্রেয়া), মৈনাক সরকার, ইউরি দাস (অর্ণিশা) ও ওয়াতারু দাস (অভ্র)।
একাডেমীতে শিশুদের যত্ন সহকারে শিক্ষাদান করা হয় বলে নিহন বাংলাকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষক তপন কুমার পাল। তিনি আরও বলেন জাপানের স্কুলে শিশুরা জাপানি ভাষায় পড়ালেখা করে বলে দ্রুত বাংলা শেখানোর জন্য এসব শিশুদের বাংলা শব্দের উচ্চারণ জাপানি ভাষায় লিখে শেখানো হয়। কিন্তু বাংলা ভাষার সব শব্দ জাপানি ভাষায় উচ্চারণ করা যায় না। যেমন বাংলা ভাষার ত এবং র অক্ষর দিয়ে শুরু শব্দ জাপানি ভাষায় কিছুটা উচ্চারণ করা গেলেও ট ও ল অক্ষর দিয়ে শুরু বাংলা শব্দের উচ্চারণ জাপানি ভাষায় কঠিন। বিদ্যালয়ে শিশুদের শেখানো হয় এসব অক্ষর উচ্চারণ করার সময় জিহ্বা মুখের ভিতর কোথায় স্পর্শ করবে। আবার অনেক শিশু স্কুলে আসতে চায় না, তাদেরকে কোলে করে আদর করে বাংলা ভাষা, নাচ-গান শেখানো হয়। খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা, খুশি অভিভাবকবৃন্দ। এই কারণে প্রবাসীদের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে স্কুলের কার্যক্রম।
আবার শিশুদের উৎসাহ দেবার জন্য মাঝে মাঝে আয়োজন করা হয় ইনডোর পিকনিকের যেখানে শিশুসহ অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের জন্য ছোট-খাটো কিছু খেলাধুলা থাকে ও তার পুরস্কার থাকে। শিশু-কিশোররা এসব অনুষ্ঠান প্রাণ-ভরে উপভোগ করে।