উনাদের তৈরী পিঠা-পায়েসের মধ্যে অন্যতম ছিলো- চেঁভো, ঝাল চন্দ্রপুলি, গজা, মেরা, এলো গেলো পিঠা, ভাঁপা, তেলের পিঠা, ফুলঝুরি, নিমকী এবং নকশী, সিঙ্গারা, চুই পিঠা, চিতল পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটা,বিবিখানা, সিমফুল পিঠা, মাংসের পুলি পিঠা, সুজি রসমঞ্জুরী,নারিকেলের পুলি,পাকুড়া, তিলের পুলি, গাজরের পায়েস ইত্যাদি । এছাড়াও সদস্যসচিব সজ্ঞয় দেব নেতৃত্বে অন্যান্য সংগঠকদের সহযোগিতায় দুপুরের খাবারের জন্য চিকেন বিরিয়ানী, চিকেন টিক্কা এবং সালাদের ব্যবস্থা করেন । যারা রাত জেগে পরম মমতা এবং আন্তরিক পরিশ্রমে পিঠা-পুলি তৈরী করে এই উৎসবকে সার্থকরুপ দিয়েছেন, তারা হচ্ছেন- ছন্দা বড়ুয়া, নিলীমা, সোমা, জেমী, লোপা, সুমি, দিপা, বিউটি, অনি,মনিকা মাহমুদা, তিমু, লিনা, রিমা, শুভ্রা, মিতু রহমান, শারমিন সুলতানা, মিতু, রাত্রী, এবং শারমিন দেলোয়ার ।
দুপুরে সবাই মিলে সংগঠন আয়োজিত খাবার গ্রহনের পর ভাবী-বৌদিরা উনাদের তৈরীকৃত পিঠা-পুলি টেবিলে সাজিয়ে অনুষ্ঠানস্থলকে আকর্ষনীয় এবং নয়নাভিরাম করে তুলেন, অতঃপর ভাবী-বৌদিরা সমাগত মেহমানদের মাঝে পিঠা-পুলি পরিবেশন করেন এবং নিজেরাও সমাগত মেহমানদের সাথে পিঠা-পুলির স্বাদ আশ্বাদন করেন । অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ের শেষান্তে পিঠা-পুলি নিয়ে আসা ভাবী-বৌদিদের সবাইকে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন উপদেষ্টা ওয়েল পেইন্টার নুরুল হক রহমান এবং উপদেষ্টা নৌ-প্রকৌশলী তাপস বড়ুয়া ।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন পৌষ উৎসব এবং অভিষেক অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক কাউছার হোসাইন আক্কাস, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সদস্য মমিনুল ইসলাম মমিন । অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে সংগঠনের সদ্য গঠিত কমিটিকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন বিগত কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন মজুমদার মাসুম এবং সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি মাজহারুল কবীর বাসেল এবং নাছির উদ্দিনের হাতে ফুলের তোঁড়া তুলে দিয়ে নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বরন করে নেন উপদেষ্টদ্বয় ।
বিকেল বেলায় বিনোদন পর্বে ভাবী-বৌদিরা বিভিন্ন বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বিবেক বার্তার সম্পাদক প্ল্যাসিড, অধ্যাপক খায়রুল বাসার এবং প্রবীন জাপান প্রবাসী, বিশিষ্ট সংগঠক সনথ বড়ুয়া ।
অনুষ্ঠানের সমাপনী লগ্নে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক উনাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে ভবিষ্যত পথচলায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি কাউসার হোসাইন আক্কাস উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দিনব্যাপি পরিচালিত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন ।
সাইতামা বাংলা সোসাইটির পৌষ উৎসব এবং অভিষেক অনুষ্ঠান ।
শীতের সকালে চাদর মুড়ী দিয়ে মায়ের সান্নিধ্যে চুলার পাশে বসে নতুন ধানের চালের গুড়া এবং খেঁজুরের রসে তৈরী বিভিন্ন মৌসুমী পিঠা পায়েসের স্বাদ অতুলনীয় । আহারে ! কবে কখন যেতে পারব শীতের সৃজনে দেশে ! এ প্রবাসী মাত্র জীবনের কঠিন বাস্তবতা । এই অতৃপ্তিতীকে কিঞ্চিত লাঘবের ব্যর্থ প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাইতামা বাংলা সোসাইটি বিগত ১২ জানুয়ারী পৌষ উৎসবের আয়োজন করেন । আমাদের মা-খালাদের সুযোগ্য উত্তরাধীকারী হয়ে যারা আমাদের জীবনে- জীবন সঙ্গিনী, ভাবী-বৌদিরুপে প্রসাবসঙ্গিনী হয়ে আছেন, উনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সম্ভব হয়েছে, পৌষ উৎসব-২০২০, আমরা উনাদের কাছে কৃতজ্ঞ ।