মহামারীতে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি দৈনন্দিন চাহিদা পূরণেও অনেকের নাভিশ্বাস উঠেছে। কিন্তু এমন দুর্বিষহ সময়েও জাপানের ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং অন্য রিটেইলাররা বিলাসবহুল ঘড়ি এবং চিত্রকর্মের দারুণ বিক্রি দেখেছে। ভোক্তাদের সংকুচিত হয়ে পড়া ব্যয় এবং মহামারী দ্বারা সৃষ্ট মন্দা সত্ত্বেও কিছু দোকানে ১০ মিলিয়ন ইয়েন বা ৯৬ হাজার ডলারের বেশি দামের ঘড়ি বিক্রি হয়েছে। খবর মাইনিচি।
শীর্ষস্থানীয় ঘড়ি বিক্রেতা ও জুয়েলারি ওয়াচ রিটেইলার জেম ক্যাসেল ইউকিযাকির সভাপতি মাসাকাযু ইউকিযাকি বলেন, আগের চেয়ে অনেক বেশি গ্রাহক এখন বিলাসবহুল ঘড়ি কিনছেন। এমনকি ২০২০ সালে ডিসেম্বরের শেষ দিকে যখন ক্রিসমাস মৌসুম চলছিল তখন ফুকওকা অঞ্চলের জেম ক্যাসেলের একটি বিক্রয়কেন্দ্রে গ্রাহকদের ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছিল।
এর আগে মহামারীর শুরুতে সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে সাময়িকভাবে বন্ধ করা দেয়া হয় দোকানগুলো; যা ২০২০ সালে মে মাসের মাঝামাঝিতে গিয়ে আবারো খুলে দেয়া হয়। নতুন করে দোকানগুলো খোলার পর জেম ক্যাসেল ইউকিযাকির প্রতিটি দোকানে বিক্রি বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। এর পর থেকে বেশির ভাগ দোকানেই আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উচ্চতর বিক্রির দেখা মিলেছে।