স্থানীয় খ্রিষ্টানদের ইরাক ছেড়ে যেতে নিষেধ করলেন পোপ ফ্রান্সিস। দেশটির মোসুলে গোলায় বিধ্বস্ত একটি গির্জায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যুদ্ধে নিহতদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করলেন। এ খবর ডয়চে ভেলের।
বছর তিনেক আগে আইএস-এর কবল থেকে মোসুলকে উদ্ধার করে ইরাকি বাহিনী। সেখানকার খ্রিষ্টান ও মুসলিমরা পোপকে জানান, আইএস শাসনে তাদের কী অবস্থা হয়েছিল। তারা এটাও জানিয়েছেন, এখন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে আছেন।
পোপ খ্রিষ্টানদের বলেছেন, তারা যেন ইরাক ছেড়ে না যান। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে। আগের অবস্থা ফিরে পাওয়ার পথ হয়তো অনেক দীর্ঘ। তবু পোপের আবেদন, “হতাশ হবেন না। ক্ষমা করার মনোভাব খুবই জরুরি। আর হাল ছেড়ে দেবেন না।”
মোসুলের ওল্ড সিটিতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়ি, চার্চ ঘুরে দেখেন পোপ।
পোপ বলেন, “এই দেশে অতীতে সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল। সেখানে এই ধরনের বর্বরোচিত কাজ মেনে নেওয়া যায় না। মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইয়াজদি ও অন্যরা মারা গেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন, তাদের উপাসনাস্থল ধ্বংস হয়েছে।”
“আজ আমি বলতে পারি, সৌভ্রাতৃত্বের প্রতি দায়বদ্ধতা বেড়েছে। এটাও মানুষ বুঝেছে, যুদ্ধ ও ধ্বংসের থেকে শান্তি অনেক বেশি কাম্য।”
ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিষ্টানদের কাছে পোপের আবেদন, তারা যেন নিজেদের জায়গায় থাকেন। ছেড়ে চলে না যান। বিশেষ করে উত্তর ইরাকের কথা মাথায় রেখে তিনি এই আবেদন করেছেন। এখানে আইএসের হাতে খ্রিষ্টানরা অত্যাচারিত হয়েছেন।