এনএইচকে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ‘ওকিনাওয়া যুদ্ধ’ চলাকালে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়োজিত মার্কিন মেরিন সেনাদের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডের সন্ধান পেয়েছে। ৩০ ঘণ্টার বেশি অসম্পাদিত অডিও টেপটি থেকে যুদ্ধের তীব্রতা সম্পর্কে জানা যায়।এনএইচকে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত মার্কিন কংগ্রেসের একটি লাইব্রেরির সংরক্ষণ কেন্দ্রে রক্ষিত অডিও টেপটির সন্ধান পায়।রেডিও সংবাদদাতার দায়িত্বে নিয়োজিত একজন মেরিন সেনা অডিও রেকর্ডটি ধারণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়া লোকজনের কাছে সেনাদের বক্তব্য পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে এই অডিও ধারণ করা হয়েছিল।ওকিনাওয়ায় মার্কিন বাহিনী অবতরণ করার অব্যবহিত আগে ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে অডিওটি ধারণ করা হচ্ছিল।ওকিনাওয়ায় পৌঁছানোর পরপর ধারণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা অডিওটিতে বলা হচ্ছিল যে, “সেখানে এখন কিছু বড় বন্দুক বা কামান গর্জন করে চলেছে এবং ওকিনাওয়াকে কঠোরভাবে নিষ্পেষিত করা হচ্ছে”। এতে আরও বলা হয় যে, “আমাদের ক্ষুদ্রতম থেকে বৃহত্তম বন্দুক পর্যন্ত, সবগুলো ওকিনাওয়ায় উন্মুক্ত করা হচ্ছে”।ওকিনাওয়ার মূল দ্বীপের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত মোতোবু উপদ্বীপে যুদ্ধ চলমান অবস্থায় ধারণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা অডিওতে বলা হচ্ছিল যে, “এটি খুব কাছাকাছি ছিল। রেকর্ডিং জিপ থেকে দূরে সরে যান। এখানে পাহাড়ে উঠে আসুন”।এটি মার্কিন মেরিন সেনাদের জন্য উত্তেজনাকর মুহুর্ত ছিল। কারণ তারা তখন, বন থেকে জাপানি স্নাইপারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল।অডিও রেকর্ডটিতে, জাপানি সেনাদের সঙ্গে বেসামরিক লোকজনের আলাদা করার ক্ষেত্রেও মেরিন সেনাদের অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার কথা জানা যায়। এতে, ‘সুগার লোফ’ নামে অভিহিত নাহা শহরের একটি পাহাড়ের যুদ্ধও তুলে ধরা রয়েছে।রিউকিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ওকিনাওয়া যুদ্ধ সংক্রান্ত একজন বিশেষজ্ঞ হোসাকা হিরোশি, সন্ধান পাওয়া এই অডিওটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী হিসেবে অভিহিত করেন যেটি সেখানকার যুদ্ধের তীব্রতার সাক্ষ্য হিসেবে সহায়ক হবে।তিনি বলেন যে, তার মতো বিশেষজ্ঞ গবেষকদেরও যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন মেরিন সেনাদের এই ধরনের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডের অস্তিত্বের বিষয়টি জানা ছিল না।
সূত্র: tellerreport
ছবি সূত্র: tellerreport