একাত্তরে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানকারী কূটনীতিক, সাবেক বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ আর নেই। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা জানান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
মোস্তফা ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, “তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিজ্ঞ কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক নেতাকে হারাল।”
মাহমুদ আলী ও মোস্তফা ফারুক পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে একই সময়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাত্তরে তারা দুজনই একসঙ্গে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। পেশাদার কূটনীতিক মোস্তফা ফারুক ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী হয়েছিলেন।
তার মামাত ভাই নাসিমুল হাবিব শিপার ও ফুপাতো ভাই গ্রিন ওয়ার্ল্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশিক মাহমুদ সবুজ বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন মোস্তফা ফারুক। সবুজ বলেন, জানাজার জন্য বৃহস্পতিবার মোস্তফা ফারুকের মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হতে পারে।