শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে নাকি মুশফিক টিম মিটিংয়ে কিপিং ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন হয়ে যাবে তার। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন তাই জানিয়েছেন। তার মানে টেস্টে অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যানের দুইটি দায়িত্ব পালন করবেন মুশফিক। মুশফিকের একসাথে তিনটি দায়িত্ব পালন নিয়ে নানা কথা চলছিল। ব্যাটিংয়ে এখন দেশের সেরা তিনি। কিপিংয়ে মন না দিলে আরো বেশি রান আসতে পারে তার কাছ থেকে। তাছাড়া উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লিটন কুমারও ফেরার সুযোগ পান। কদিন আগে ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন লিটন। তবে লিটনের কারণে মূলত নয়, মুশফিকের হালের কিপিং এর মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু উইকেটকিপিং দুর্বলতার জায়গা বলে ছাড়তে রাজি ছিলেন না মুশফিক। কিন্তু এবার বুঝি ছাড়তে হলো।
খালেদ মাহমুদ মিডিয়ার কাছে এ নিয়ে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় হয়তো মুশফিক কিপিং করবে না। সে হয়তো আরো উপরে ব্যাট করবে। তার সাথে এ নিয়ে টিম মিটিংয়ে কথা বলেছি আমরা। খুব ইতিবাচকভাবেই সে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। তাকে আমরা তার মতো আরো ব্যাটসম্যানের উদাহরণ দিয়েছি। কিপিং ছাড়ার পর কুমার সাঙ্গাকারা তো আরো অনেক ভালো ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছিলেন।’ এর সাথে তিনি আরো বলেছেন, ‘ও আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। তাকে উপরের দিকে ব্যাট করাতে চাই। এটা যে দলের ভালোর জন্য তা বোঝে বলেই ও বিষয়টাকে স্পোর্টিংলি নিয়েছে।’ কিন্তু প্রশ্ন হলো লিটন টেস্ট দলে ঢুকলে, মুশফিক চার নম্বরে ব্যাট করলে মাহমুদউল্লাহর কি হবে? জায়গা হারাবেন নাকি নিচে নেমে যাবেন আগের মতো। তাতে তো আবার সাব্বির রহমানকে বাদ দিতে হয়! বৃহস্পতিবার শুরু দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দেখে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে লিটন কার জায়গায় খেলবে সেই বিষয়ে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট