সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষে অন্তত ১১০ জন মারা গেছে। তীব্র খরায় পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়ারিয়া। ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ এক পূর্বাভাসে বলেছিল, খরায় এবছর অন্তত ২৭ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত হতে পারে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী হাসান আলি খায়রের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, তীব্র খরায় খামারি ও তাদের পশুদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ খাদ্য সংকটের কারণে দুর্ভিক্ষ, আবার কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় উপসাগরীয় এলাকায় অন্তত ১১০ জন মারা গেছেন।
দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় করা কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।সেই সঙ্গে সোমালিয়ার সবাইকে দুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। ২০১১ সালে দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ায় অন্তত ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সোমলিয়ার নিরাপত্তা এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাজধানী মোগাদিশু ও অন্যান্য অঞ্চল প্রায়ই আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট আল শাহাবের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।