একটানা হর্নটা বেজে যাচ্ছিল। মিনিট দশেক ধরে তা থামতে না দেখে গ্রামবাসীরা গিয়ে দেখেন, নয়ানজুলির ভিতর উল্টে পড়ে আছে একটা ইনোভা। দুর্ঘটনার কবলে পড়া আরোহীদের বেশির ভাগই অচৈতন্য। তখনও কেউ বুঝতে পারেনি, ওই দুর্ঘটনায় গানের দল ‘দোহার’-এর কালিকাপ্রসাদ মারা গিয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর পাঁচ সতীর্থ।
মুহূর্তের মধ্যেই খবরটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। কালিকাপ্রসাদ আর নেই! মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনি। ‘দোহার’-এর বাকি সদস্য নীলাদ্রি রায়, অর্ণব রায়, সন্দীপন পাল, সুদীপ্ত চক্রবর্তী ও রাজীব দাস গুরুতর জখম হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গার হাড় ভাঙার পাশাপাশি মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।
কালিকাপ্রসাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিকেলে কালিকাপ্রসাদের দেহ নিয়ে আসা হয় তাঁর সন্তোষপুরের বাড়িতে। পথে নবান্নের সামনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর দেহ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয়। সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত কালিকাপ্রসাদের দেহ সেখানে রাখা হয়। এ দিন রাতেই তাঁর শেষকৃত্য কেওড়াতলা শ্মশানে।
তথ্য সূত্রঃ আনন্দবাজার