টেস্ট সিরিজটা যেখানে শেষ করেছিল, বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজের শুরুটাও করল ঠিক সেখান থেকেই। দেশের শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয়। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি এবং সাব্বির রহমান ও সাকিব আল হাসানের হাফসেঞ্চুরিতে চড়ে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩২৪ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৫.১ ওভারে ২৩৪ রানে অল আউট। বাংলাদেশ প্রত্যাশার সিরিজটা শুরু করল ৯০ রানের অসাধারণ এক জয় দিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পঞ্চম জয়। শ্রীলঙ্কার মাটিতে দ্বিতীয়। যে জয় মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশকে সিরিজে এগিয়ে দিল ১-০ ব্যবধানে।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে এর আগে একটিই ওয়ানডে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে সেই জয়টি ছিল পাল্লেকেলেতে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই দলের সর্বশেষ ওয়ানডেতে।
প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩২৪ রানের পুঁজি। ডাম্বুলায় প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ আসলে জিতে যায় তখনই! শ্রীলঙ্কার মাটিতে কোনো বিদেশি দলই ওয়ানডেতে ৩০০-এর বেশি রান তাড়া করতে জিততে পারেনি। সেখানে শ্রীলঙ্কার এই অনভিজ্ঞ দলের পক্ষে ৩২৫ রান তাড়া করে জেতাটা প্রায় অসম্ভবই! তারপরও শঙ্কা একটু ছিলই। তবে বল হাতে নিয়েই সেই শঙ্কা ডাম্বুলার বাতাসে মিলিয়ে দিতে শুরু করেন অধিনায়ক মাশরাফি-মেহেদী-তাসকিনরা। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩১ রানের মধ্যেই শ্রীলঙ্কা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। এরপর দিনেশ চান্ডিমাল ও আসেলা গুনারত্নে মিলে চেষ্টা করছিলেন ধ্বংসস্তূপ থেকে শ্রীলঙ্কাকে টেনে তোলার। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টায় জল ঢেলেছেন সাকিব ও মেহেদী। গুনারত্নেকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন সাকিব। একটু পর চাণ্ডিমালকেও ফিরিয়ে দেন মেহেদী। বাংলাদেশের বোলিং সেনসেশন মোস্তাফিজ তখনো মঞ্চের আড়ালে। তবে পরে শুধু মঞ্চেই ফিরেননি, মোস্তাফিজ বেশ ভালোভাবেই মুড়িয়ে দিয়েছেন লঙ্কান ইনিংসের লেজ। লঙ্কানদের শেষ উইকেটসহ ৩টি উইকেট নিয়েছেন, একটি করেছেন রান আউট।