পরমাণু অস্ত্র আইনগত-ভাবে নিষিদ্ধকরণের একটি চুক্তি নিয়ে পরমাণু শক্তির অধিকারী রাষ্ট্রসমূহের অনুপস্থিতিতে নিউ ইয়র্কে আলোচনা শুরু হয়েছে। ১০০টির বেশী দেশ পাঁচদিনের সেই আলোচনায় যোগ দিচ্ছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী দিবসে রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধি এবং আণবিক বোমা হামালায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া একজন ভাষণ দেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও দক্ষিণ কোরিয়া সহ ২০টির বেশী দেশের রাষ্ট্রদূতরা পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির বিরোধিতা করে যৌথ একটি বিবৃতি প্রচার করেছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হেইলি প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্বের মোকাবেলা করতে হওয়া নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি সম্মেলন আসলেই অনুধাবন করতে পারছে কিনা। জাপানের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক রাষ্ট্রদূত নোবুশিগে তাকামিযাওয়া তাঁর ভাষণে বলেছেন, আলোচনায় জাপান অংশগ্রহণ করবেনা।
তিনি বলেন পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী রাষ্ট্র এবং পরমাণু অস্ত্র যাদের নেই – উভয় পক্ষের নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে অবশ্যই সহযোগিতা করা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন যে গঠনমূলক ও আন্তরিকভাবে আলোচনায় অংশ নেয়া জাপানের জন্য কঠিন হবে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ এবং আণবিক বোমা হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন আণবিক বোমা হামলার অভিজ্ঞতা হওয়া একমাত্র দেশ হিসেবে চুক্তির বিরোধিতা করা এবং আলোচনায় যোগ না দেয়ার জন্য জাপানের সমালোচনা করেছেন।