সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নতুন করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এ রাসায়নিক হামলার জন্য আসাদের সশস্ত্র বাহিনীকেই দায়ী করেছে। তারা বলছে, সিরিয়ার বিমান থেকে সারিন গ্যাস হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সিরিয়া শান্তি সম্মেলন। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আয়োজিত এ সিরিয়া সম্মেলনেই বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, “বাশার আল আসাদ এরই মধ্যে যা করেছেন তারপর তিনি কিভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারেন তা আমি বুঝি না। সিরিয়ায় মারা যাওয়া চার লাখ মানুষের মধ্যে তিনি বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী।”
“এরকম পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় থাকা একজন স্বৈরশাসকের উদাহরণ খুঁজতে গেলে অনেক পেছনের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে।” ওদিকে, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সিরিয়ায় এ রাসায়নিক হামলার ঘটনাটি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এবং আসাদের প্রতি তার অবস্থানের একটি পরীক্ষা।রাশিয়া এবং ইরান সমর্থিত বাশার আল আসাদের ভবিষ্যতের বিষয়টি সিরিয়া বিষয়ক আলোচনায় সবসময়ই মূল বিতর্কের বিষয় হিসাবেই আবর্তিত হচ্ছে। ছয়বছর ধরে চলা যুদ্ধে সিরিয়ায় বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানে মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় সেখানে রাসায়নিক হামলার ঘটনাকে বুধবার যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলাগুলোর জন্য প্রেসিডেন্ট আসাদকে দায়ী করছে।