জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে, উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত জাপানী নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি তাঁর মন্ত্রী সভার অন্যতম অগ্রাধিকার বিষয় বলে জানিয়েছেন। মিঃ আবে আজ, অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের আয়োজিত এক সমাবেশে উক্ত মন্তব্য করেন। তিনি, অপহৃতরা তাঁদের প্রিয়জনদের সাথে মিলিত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর দায়িত্ব শেষ হবে না বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অপহরণ সমস্যা সমাধানের দৃঢ় প্রত্যয়টি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
মিঃ আবে জানান যে, অপহরণ সমস্যাটি জাপানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র সমস্যার পাশাপাশি অবশ্যই এটির সমাধান করতে হবে বলে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন। মিঃ আবে, অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য সহযোগিতার অনুরোধ করেন এবং তাঁর সরকার এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে বলে জানান।
সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার আগে মিঃ আবে, অপহৃতদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এতে তিনি, ইউতাকা কুমে, কিয়োকো মাৎসুমোতো ও মেগুমি ইয়োকোতার অপহৃত হওয়ার পর ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে এবং চলতি বছর অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের গ্রুপটি গঠনের ২০তম বার্ষিকী বলেও মন্তব্য করেন। মিঃ আবে, অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের বয়স বৃদ্ধি পেয়ে চলায় কোন ধরণের বিলম্ব ছাড়াই সমস্যাটি সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। সরকার, ১৯৭০ এবং ৮০র দশকে উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত অন্তত ১৭ জন জাপানী নাগরিককে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। অপহরণের ২৪ বছর পর ২০০২ সালে এঁদের মধ্যে ৫জন দেশে ফিরে আসেন। এখনও অবশিষ্ট ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট