প্রয়াত বিনোদ খান্নাকে চোখের জলে বিদায় জানাল বলিউড। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ওরলি শ্মশানে অভিনেতার শেষকৃত্যে ঢল নামে চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী থেকে কলা-কুশলীদের। শেষবার দেখার জন্য ভিড় করেন তার অগনিত অনুগামীরা। অ্যাম্বুলেন্সে করে বিনোদ খান্নার মৃতদেহ আনা হয় শ্মশানে। বাবার চিতায় অগ্নিসংযোগ করেন সাক্ষী। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঋষি কাপুর, তার ভাই রণধীর কাপুর, অর্জুন রামপাল, জ্যাকি শ্রফ, কবীর বেদি, ড্যানি ডেনজোংপা। ছিলেন গীতিকার গুলজার, সুভাষ ঘাই, রমেশ তৌরানি ও রমেশ সিপ্পি।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে বলিউডের এক সময়ের হার্টথ্রব নায়ক বিনোদ খান্না ৭০ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার সকালে জীবনাবসান হয়। অধূনা পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিনোদ খান্না। পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।
যে আমলে নায়কদের সিক্স প্যাকস জরুরি ছিল না, সে আমলে বিনোদই তার পেশিবহুল-সুঠাম চেহারা নিয়ে এক অন্য পৌরুষ আমদানি করেছিলেন। মেরে আপনে, আচানক, ইমতিহান, হাত কি সাফাই, মুকাদ্দর কা সিকন্দার, অমর আকবর অ্যান্টনি, খুন পসিনা, কুরবানি…একটা সময় বিনোদকেই মনে করা হচ্ছিল অমিতাভ বচ্চনের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। তার মধ্যেই পুণেতে ওশো-র আশ্রমে রজনীশের কাছে দীক্ষা। একটা সময় স্রেফ উধাও হয়ে গেলেন আমেরিকায় রজনীশপুরমে। পাঁচ বছর পরে ১৯৮৭ সালে আবার ফিরলেন অবশ্য। প্রথম বিয়েটা ভেঙেছে ইতোমধ্যে। ইনসাফ, জুর্ম, চাঁদনি, দয়াবান…ফের পরপর হিট। বিয়েও করলেন আবার। হালে ‘দাবাং’, ‘দিলওয়ালে’র মতো ছবিতে ফের পর্দাতেও আসেন।