জাপান ডেস্ক : রাইজিং স্টারস জাপানে প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট ক্লাবদের মধ্যে অন্যতম একটি ক্লাব যা শুধু নিজেদের খেলাধুলা কার্যক্রম পরিচালনা করছে না উপরন্তু নানা ভাবে জাপানে ক্রিকেটকে পরিচিত এবং কার্যত একটি জনপ্রিয় খেলাতে পরিণত করার কাজে নিয়জিত সক্রিয় সংগঠন।
গেল শনিবার ১৩ই ফেব্রুয়ারি জাপানের টোকিও শহরের আকাবানে এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে রাইজিং স্টারস জাপানের বাৎসরিক পুরষ্কার বিতরণী এবং ২০১৬ ক্রিকেট মৌসুমের কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা ঘোষণা মূলক একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাইজিং স্টারস জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি খেলাধুলা বিষয়ক সংগঠন যা জাপানে সুন্মানের সাথে ক্রিকেট খেলা আয়োজন করে আসছে। রাইজিং স্টারস ক্রিকেট দল জাপান লীগ খেলে থাকে নিয়মিত। ২০১৫ সালে জাপান এ্যাম্বাসি কাপ টুরমানেন্টের ফাইনালে ব্রিটিশ এম্বাসি কে পরাজিত করে বাংলাদেশ এ্যাম্বাসি চ্যাম্পিয়ন হয়। টুর্নামেন্টটি যৌথভাবে পরিচালনা করে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং রাইজিং স্টারস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসান আরিফ। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২য় সচিব মোহাম্মদ যোবাইদ হোসেন ও তয় সচিব এমডি বেলাল হোসেন। বিশেষ অথিতি এবং ক্লাবের স্পন্সর হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কিউদাই রেমিটেন্স এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও উচিহিরো কিমোতো এবং সিনিয়র অফিসার হুমায়ূন কবির, পদ্মা কোং লিঃ এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও বাদল চাকলাদার, ডেস্টিনি ইনকরপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মনি ঠাকুর, সাম্পান কোং লিঃ এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও শেখ মনজুর মোরশেদ, ক্লাবের উপদেষ্টা আশরাফুল ইসলাম শেলি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্লাবের মিডিয়া পার্টনার নিহন বাংলা ডট কমের সম্পাদক গোলাম মাসুম (জিকো)। অনুষ্ঠানে ক্লাবের বাৎসরিক হিসাব তুলে ধরেন ম্যানেজার / কোষাধ্যক্ষ শেখ নাজরুল ইসলাম, ক্লাবের গেল বছরের কর্মকাণ্ড এবং ২০১৬ এর পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন ক্লাবের বর্তমান সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানূর কবির রাজিন, ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রাজাউল হক সুমন দলের বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে বক্তব্য রাখেন।
২০১৫ সালে ক্লাবের সমীক্ষায় এবং পয়েন্ট / নম্বর পদ্ধতিতে যে সকল খেলোয়ারদের ক্রেস্ট এবং সম্মাননা সনদ পত্র প্রদান করা হয় তারা হলেন
দ্যা স্পিরিট অফ রাইজিং স্টারস – সফি উল্লাহ শাহিন, মোস্ট ইনফুলেন্সিয়াল প্লেয়ার – রাজাউল হক সুমন, বেস্ট ফিল্ডার – ওবায়দুস সোহবান সাইদ, বোলার অফ দ্যা ইয়ার – আবু হাসনাত আলম, ব্যাটস ম্যান অফ দ্যা ইয়ার – কাজী মুরাদ, ক্রিকেট অফ দ্যা ইয়ার – রেজয়ানুর কাবির রাজিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্পন্সরস, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হাসান মোহাম্মদ আরিফ এবং মিডিয়া পার্টনারদেরকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট প্রদান করে ক্লাবের খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসান আরিফ তার বক্তব্যে ক্লাবের কর্মকাণ্ডের প্রতি প্রশংসা করেন এবং দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকল খেলোয়াড় এবং অথিতিবৃন্দ এক নৈশ ভোজে অংশ গ্রহন করে।