জাপানে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত করার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের ধামাচাপা দেয়া কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত এক অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। দক্ষিণ সুদানে জাপানের অতীত শান্তিরক্ষা মিশনের নথি গোপন করাকে ঘিরে এ কেলেঙ্কারির সূচনা হয়। অভ্যন্তরীণ এক তদন্তে অনেকগুলো নিয়ম লঙ্ঘন প্রমাণিত হওয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোমোমি ইনাদা এর দায়িত্ব গ্রহণ করে পদত্যাগ করেন। তদন্তে দেখা যায়, মিজ ইনাদা এসব ধামাচাপায় অনুমোদন প্রদান করেননি। তবে তারা আরও বলে, তিনি এসব নথির অস্তিত্বের কথা জানতেন এমন সম্ভাবনাও নাকচ করা যাচ্ছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থল এসডিএফ দু’বার এসব উপাত্ত মুছে ফেলে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত জুলাইয়ে যখন স্থল এসডিএফ তাদের নথি প্রকাশ না করে তখন থেকেই এ সমস্যার শুরু হয়। মিজ ইনাদা বলেন, এসব সমস্যার কারণে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এসডিএফ জনগণের জানার অধিকার রয়েছে এমন তথ্য প্রকাশ করা নিয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় সে বিষয়ে জনগণের মাঝে অনাস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বারংবার এ ইঙ্গিত এসেছে যে মন্ত্রণালয়ের ভেতর থেকে তথ্য ফাঁস হচ্ছিল এবং এতে তাদের দায়িত্ব পরিচালনা নিয়ে আস্থায় ভাঙন ধরতে পারে। এর থেকে এসডিএফ সদস্যদের দেশ ও বিদেশে দৈনিক দায়িত্ব পালনে মনোবল হানির মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশাসনিক উপমন্ত্রী পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা তেৎসুরো কুরোয়ে এসব নথির কথা গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা বলেন স্থল এসডিএফ’এর প্রধান জেনারেল তোশিয়া ওকাবে’র কাছে, যিনি নিজেও পদত্যাগ করছেন।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড বাংলা