রোহিঙ্গা সমস্যাকে ‘মানবসৃষ্ট’ সমস্যা বা ক্রাইসিস হিসেবে উল্লেখ করে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হ্যালে থরনিং স্মিথ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাকে একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা তাই এই সমস্যাকে আন্তর্জাতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর থেকে মানুষের দৃষ্টি যেন সরে না যায় সে বিষয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেন তিনি। মিয়ানমারের আরাকান থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু, ফলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার পরপরই শিশুদের শিক্ষা—বিশেষ করে স্কুলে যাওয়ার বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব জায়গায় শিশু। চরম অপুষ্টি ও নির্যাতনের শিকার তারা। এতিম শিশু বা পরিবার থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশুরা নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। রোহিঙ্গা শিশুরা শোষণ, অপব্যবহার এমনকি পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই শিশুদের সুরক্ষায় সবাইকে নজর দিতে হবে।
হ্যালে থরনিং স্মিথ রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টিতে মিয়ানমার সরকারের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের এ দেশীয় পরিচালক মার্ক পিয়ারস। তিনিও বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান। শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করার বিষয়টিকে সামনে আনেন তিনি।
রোহিঙ্গারা যাতে যথাযথভাবে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হ্যালে থরনিং স্মিথ ও মার্ক পিয়ারস।
২০ অক্টোবর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে আজ ২১ অক্টোবর, শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে থরনিং স্মিথ ও মার্ক পিয়ারস এসব কথা তুলে ধরেন।
২১ অক্টোবর, ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো