২০১৫ সালে ফেনীতে প্রায় সাত লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত এক এএসআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহীনকে আটক করা হয়। শাহীন মিয়া ঢাকায় কর্মরত আছেন।
ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক নজিবুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেনীর সিআইডির একটি দল ঢাকা থেকে এএসআই শাহীন মিয়াকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসেনের আদালতে হাজির করলে শাহীনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক নজিবুল ইসলাম আরো জানান, ২০১৫ সালের ২০ জুন রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপোল এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার থেকে ছয় লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি-ঢাকা) এএসআই মাহফুজুর রহমান (৩৫) ও গাড়ি চালক জাবেদ আলীকে (২৯) আটক করে র্যাব।
এরপর ২১ জুন, ২০১৫ তারিখে র্যাব বাদী হয়ে মাহফুজুর রহমান, জাবেদ আলী, কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের এসআই আশিক ও কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বেলালের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে বলে নজিবুল জানান।
২০১৫ সালের নভেম্বরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী আসামীরা হলেন, এএসআই মাহফুজুর রহমান, গাড়ি চালক জাবেদ আলী, কথিত ইয়াবা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, এএসআই মো. বেলাল, এসআই মো. আশিক, হাই কোর্টের মুহুরি মো. মোতালেব ও অ্যাডভোকেট জাকির। বাকী একজনের নাম পাওয়া যায় নি।
আসামীদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন মাহফুজুর রহমান, জাবেদ আলী ও গিয়াস উদ্দিন।
আবদুর রহমোনের ছেলে এএসআই শাহীন মিয়া কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার রুপনগর ইউনিয়নের এতবারপুর গ্রামে।
১৮ নভেম্বর, ২০১৭
ঢাকা।
সূত্র: বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম