আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ৩০ বছরের মধ্যে সিন নদীর পানি বিপদসীমার সবচেয়ে উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফ্রান্সের প্যারিসে রেল যোগাযোগসহ বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। স্বাভাবিকের চাইতে বন্যার পানি প্রায় ১৮ ফুট উঁচুতে ওঠায় ল্যুভর এবং মুজে দোর্সে বা ওর্সে জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মূল্যবান প্রায় আড়াই লাখ নিদর্শন যাতে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া যায়। মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিন নদীর পানি গেল সপ্তাহের তুলনায় আরও বেড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আরও কিছুদিন এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। বন্যায় শুধু ফ্রান্সই নয়, বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জার্মানিও। দেশটির বেশ কিছু এলাকা এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। ফ্রান্সে বন্যার ভয়াবহতা বেশি হলেও প্রাণহানির দিক থেকে জার্মানি এগিয়ে। এপর্যন্ত ফ্রান্সে ২ জন এবং জার্মানিতে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে। রোমানিয়া, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড, পোলান্ডেও বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। রোমানিয়ার পূর্বাঞ্চলে বন্যায় মারা গেছেন ২ জন।
এদিকে, গত ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথম এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নড়ে চড়ে বসেছে ফরাসি সরকার। সাম্প্রতিক বন্যাকে অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ। জারি করেছেন বন্যা সতর্কতা। আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গতদের ক্ষতিপূরণের। প্যারিসের মেয়র এ্যানে হাইডালগো বেশ কিছু পার্ক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যায়ামাগারগুলোয় গৃহহীনদের আশ্রয়ের জন্য খুলে দিয়েছেন। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে অন্তত ২০ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যায় প্রায় ২০ মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। এছাড়া, অন্তত ২০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।