ট্রেলার প্রকাশেই প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনার মুখে পড়েছে ‘মহেঞ্জোদারো’। ভুলভাবে সিন্ধু সভ্যতাকে উপস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে বলিউড সিনেমাটির বিরুদ্ধে। আশুতোষ গোয়ারিকরের সিনেমাটিতে খ্রিস্টপূর্ব ২০১৬ অব্দের কাহিনী উঠে এসেছে। বেশ বড় বাজেটে আটঘাঁট বেঁধে নেমেছিলেন ‘লাগান’ ও ‘যোধা আকবর’ সিনেমার এ নির্মাতা। কাহিনী যথাযথ করতে সাহায্য নেন প্রত্নতত্ত্ববিদদের।
এত পরিশ্রম সত্ত্বেও বলা হচ্ছে, উপস্থাপনায় প্রামাণ্যতার অভাব রয়েছে। সোমবার ট্রেলার প্রকাশের পর থেকে টুইটারে চলছে ‘মহেঞ্জোদারো’ ঝড়। অনেকে সিনেমাটির নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ ‘মহেঞ্জোদারো’ প্রকৃত নাম নয়। ১৯২০ সালে ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ে শহরটি খুঁজে বের করা হয়। তখন নাম দেওয়া হয় ‘মহেঞ্জোদারো’। সিন্ধি ভাষার শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় ‘মৃতদের ঢিপি’।
কারো কারো মতে, সিনেমাটির নির্মাণ গতানুগতিক প্রাচ্য ধারণার উপর দাঁড়িয়ে আছে। সৃষ্টিশীলতা হিসেবে নতুন কিছু নেই। বরং জনপ্রিয় উপাদানেই নির্মিত হয়েছে ‘মহেঞ্জোদারো’। ঠাট্টা-মশকরাও কম হচ্ছে না। যেমন; ‘মহেঞ্জোদারো’ কী প্রাচীন সভ্যতার বাস্তব উপস্থাপন? না। ওই সিনেমার নারীরা নিয়মিত পার্লারে যান, আর পুরুষরা যান জিমে। একটি দৃশ্যে দুজন শ্বেতাঙ্গ অভিনেতাকে হৃতিকের সঙ্গে মারপিট করতে দেখা যায়। টুইটারে প্রশ্ন তোলা হয় দুই আমেরিকান ‘মহেঞ্জোদারো’তে কী করছে?
কারো কারো মতে, ‘কোই মিল গ্যায়া’, ‘কৃষ’, ‘গ্ল্যাডিয়েটর’, ‘এক পাহেলি লীলা’, ‘বাহুবলি’, ‘অগ্নিপথ’ ও ‘লাগান’-এর মিশ্রণ হলো ‘মহেঞ্জোদারো’। নায়িকা পুজা হেগড়ের সাজপোশাক নিয়েও কথা উঠেছে। পা খোলা অবস্থায় তাকে দেখা যায় ফার্স্টলুকে। ওই ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া যায় কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলির দেওয়া পোজের।
এসব সমালোচনার কোনোটিরই জবাব দেননি হৃতিক বা আশুতোষ।