এখন আমের মৌসুমের শেষ সময়। আমের মৌসুম চলে গেলেও আমের জন্য মন কাঁদে অনেকেরই। বাজারে যেসব ম্যাঙ্গো জুস পাওয়া যায়, তাতে কি আর মন ভরে? কারণ বেশিরভাগ জুসই তো নকল। কিন্তু আম এমন একটি ফল যা বেশিদিন রাখাও যায় না। কিন্ত তিন মাস বা ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন সুস্বাদু আম। কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই আপনি ছয় মাস পর্যন্ত পাকা আম সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন। আসুন তাহলে জেনে নেই কীভাবে খুব সহজেই আম সংরক্ষণ করবেন।
এটা খুব সহজ একটা পদ্ধতি। প্রথমে পাকা আম নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর লম্বাভাবে টুকরো করে কাটতে হবে। বিচি ফেলে দিন। এই আমের টুকরোগুলো প্লাস্টিক বক্স বা ফুডগ্রেড পলিব্যাগে ভরে ডীপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে।
সংরক্ষিত আমের এই পাল্প জুস বা মিল্কশেক তৈরি করে ছোট বড় সবাই খেতে পারবেন। আমের ভরা মৌসুমে আমরা সকলেই যদি কিছু পরিমাণ আমের পাল্প করে সংরক্ষণ করতে পারি তবে তা দেশের আম চাষিদের জন্য যেমন কল্যাণকর হবে তেমনি তা আমাদের ফলের পুষ্টি চাহিদা পূরণে অনেকদিন সহায়ক হবে।
আস্ত আম সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রথমে কাগজের ব্যাগে ঢুকান আম। এরপর ব্যাগটি একটি কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে ব্যাগটি পলিথিন ব্যাগে ঢুকান। ব্যাগটি রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আম।
আম ছোট টুকরা করে ব্লেন্ড করে নিন। বরফ জমানোর পাত্রে কিংবা আইসক্রিমের কাপে ছোট ছোট করে জমান আমের মিশ্রণ। জমে শক্ত হয়ে গেলে ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে ট্রে কিংবা বাটি থেকে উঠিয়ে জিপলক ব্যাগে ঢুকিয়ে নিন। ব্যাগটি মুখবন্ধ বাটিতে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। পুরো বছরই খেতে পারবেন সুস্বাদু আম।
কিছু টিপস :
ছোট ছোট টুকরা করে জিপলক ব্যাগে রাখুন।
একসঙ্গে বেশি না রেখে কয়েক টুকরা করে রাখুন একটি ব্যাগে।
ব্যাগ বা মুখবন্ধ বাটিতে ঢুকিয়ে বাটি ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। সারা বছরই টাটকা থাকবে আম।
যেনতেন প্লাস্টিকের বাটিতে সংরক্ষণ করতে যাবেন না যেন। তাতে করে উপকার তো পাবেনই না, বরং অপকারই বেশি হবে।
ফুড গ্রেড প্লাস্টিক বক্স ব্যবহার করবেন।
বক্স বা প্যাকেটের গায়ে অবশ্যই তারিখ লিখে রাখবেন।