আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাতে বেশ প্রভাব ফেলেছে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় সমকামীদের নৈশক্লাবে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড। চলতি বছরের ৮ নভেম্বরের ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমক্রেট হিলারি ক্লিনটন ‘সহিংস ইসলামি উগ্রবাদের’ মোকাবিলা কীভাবে করা উচিত তা নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। ওই হত্যাকাণ্ডের পর আমেরিকা, ইউরোপ অথবা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ইতিহাস আছে এমন দেশগুলোর অভিবাসীদের বহিষ্কার করার প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প।
গেল বছরের নভেম্বরে প্যারিসে চালানো এক সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন। তার এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই ট্রাম্পের প্রস্তাবের নিন্দা করেন। কিন্তু তার এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দরকার বলে মন্তব্য করে নিজের প্রস্তাবে অটল ছিলেন ট্রাম্প। সমালোচনার মুখে তিনি একসময় নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা সরেও আসেন। তখন নিজের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। এটি বাস্তবায়ন করার জন্যও বলা হয়নি। যা হচ্ছে তার সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত শুধু একটি পরামর্শ হিসেবে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।”
কিন্তু অরল্যান্ডোর এই হামলার ফলে ট্রাম্প পুনরায় বিষয়টির প্রতি পুনরায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার সুযোগ পেয়ে গেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি আবারো ওই প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মসজিদগুলোর উপর নজরদারি করার আহ্বান জানান।
অপরদিকে আমেরিকান মুসলিমদের খারাপ না ভেবে বরং দেশ নিরাপদ রাখার উপায় খুঁজে বের করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন। ডেমক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি বলেন, “পক্ষাবলম্বন নয় বরং রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিন।”
বন্দুকধারীদের আক্রমণ প্রতিহত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে নিজের সমর্থন জানিয়ে হিলারি আরো বলেন, ইন্টারনেটে নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। আমেরিকান মুসলিমদের অধিকার সুরক্ষায় তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও জানান হিলারি। হিলারি মুসলিমদের দোষারোপ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পালস ক্লাবে নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে বৃহস্পতিবার অরল্যান্ডো যাবেন ওবামা।