প্রেস রিলিজ
টোকিও, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যাংক এর ৩০ জন সরকারি কর্মকর্তা জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার্থে জাপানে এসেছেন। আজ সোমবার (০৩/০৯/১৮) বিকালে বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিওর বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম এ তাদের স্বাগতম ও শুভেচ্ছা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
রাষ্ট্রদূত বৃত্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের শুভেচ্ছা-দূত হিসাবে কাজ করার আহ্বান জানান। লেখাপড়ার পাশাপাশি সবাইকে তিনি জাপানি ভাষা, সংস্কৃতি এবং জীবন ও কর্ম পদ্ধতি থেকে শিখতে এবং তা ব্যক্তিগত ও পেশাগত ক্ষেত্রে প্রয়োগের পরামর্শ দেন। জাপান থেকে অর্জিত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য রাষ্ট্রদূত বৃত্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আহবান জানান।
জাপানিজ গ্রান্ট এইড ফর হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট (জে.ডি.এস) স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর বাছাই করে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে। চালু হওয়ার পর থেকে এযাবৎ ৩২৮ জন জে.ডি.এস ফেলো এই বৃত্তি পেয়েছেন যাদের মধ্যে ২৬৪ জন ইতোমধ্যে কোর্স শেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ই.আর.ডি), বাংলাদেশ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোপারেশন সেন্টার (জাইস) এই প্রোগ্রামের বাস্তবায়ন সংস্থা হিসাবে কাজ করছে।
এবছর জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের ১০ জন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ০৫ জন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ০৬ জন এবং পুলিশ, শিক্ষা ও ইকোনমিক ক্যাডার থেকে ২ জন করে এবং ১ জন করে তথ্য, স্বাস্থ্য ও মৎস্য ক্যাডার কর্মকর্তা জাপানের ইয়ামাগুচি, মেইজি, সুকুবা, হিতুতসুবাশি, রিতসুমিকান, হিরোশিমা, কিউশু, ইউকোহামা এবং আই.ইউ.জে বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি, গভরনেন্স স্টাডিজ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, পরিবেশ বিজ্ঞান, আইন ইত্যাদি বিষয়ে দুই বছরের মাস্টার্স কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন। এখানে উল্লেখ্য এই প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে এবছর থেকে পি.এইচ.ডি কোর্স চালু হয়েছে, ইতোমধ্যে তিনজন কর্মকর্তা জাপানের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাইসের আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট বিষয়ক বিভাগের পরিচালক সুয়োশি শিনয়া এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. শাহিদা আক্তার।
এসময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মুহা. শিপলু জামান
দ্বিতীয় সচিব (প্রেস)
টোকিও, জাপান।