বহুজাতিক করপোরেশনের শীর্ষ পদে সফল অধ্যায় শেষে বহুজাতিক সংস্থার নেতৃত্বে যেতে পারেন ইন্দ্রা নুয়ি। কোমলপানীয় ও স্ন্যাকস ফুড জায়ান্ট পেপসিকোর সাবেক এ সিইওকে এবার বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভাবছে হোয়াইট হাউজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আপত্তি না থাকলে ঋণদাতা সংস্থাটির শিখরে বসতে পারেন ৬৩ বছর বয়সী এ করপোরেট ব্যক্তিত্ব। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
ইন্দ্রা নুয়ি আগ্রহী হলে তার নামটি যে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের জন্য ট্রাম্পের সামনে উঠতে যাচ্ছে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ ইন্দ্রার নামটি প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও সবচেয়ে প্রিয় সন্তান ইভাংকা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যনীতি থেকে আরম্ভ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিভিন্ন বাঁকবদলকে ইভাংকা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার যেভাবে প্রভাবিত করেছেন, তাতে মেয়ের পছন্দের প্রতি ট্রাম্পের সমর্থনের সম্ভাবনা বেশ জোরালো।
করপোরেট দুনিয়ার প্রথম সারিতে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে ইন্দ্রা নুয়ির নামটি সবার খ্যাতিতে আসে। পেপসিকোর চেয়ারম্যান ও সিইও পদে থেকে তিনি দেখভাল করেছেন বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত এক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের, যার মধ্যে হরেক রকম পানীয় ছাড়াও ডোরিটস চিপস, কোয়েকার ওটস সিরিয়াল, ট্রপিকানা জুসের মতো পরিচিত লেবেল। এক যুগ দায়িত্ব পালন শেষে গত আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তিনি যখন সরে দাঁড়ান তখন তাকে নিয়ে এক টুইটে উচ্ছ্বসিত ইভাংকা লেখেন, ‘ইন্দ্রা, তুমি এক মেন্টর, আমিসহ অনেকের অনুপ্রেরণা। তোমার বন্ধুত্বের জন্য আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। এই দেশ ও দেশের বাইরে অসংখ্য মানুষের জন্য উপকারবাহী ইস্যুগুলোতে সংশ্লিষ্টতার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’
টুইটারে ইভাংকার আবেগ থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীতদের মধ্যে ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে সুদৃঢ়ভাবে উপস্থাপিত হতে যাচ্ছেন ইন্দ্রা নুয়ি। এখন খোদ ট্রাম্প নিজের মনের দ্বিধা ঝেড়ে সম্মতি দিলেই বৈশ্বিক সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট হবেন মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ ও ইয়েল স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের এ অ্যালামনাই।
বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ কর্তা বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটা বেশ নমনীয়। দেখা যায় প্রাথমিকভাবে আলোচনায় থাকা ব্যক্তিরা তালিকা থেকে বাদ পড়েন, আবার প্রেসিডেন্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অনেকে স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাধারণত কোনো ব্যক্তি বাছাই করার ক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত গুরুত্ব দেন।