জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সৌদি আরবের একটি বন্দিশালায় অনশন শুরু করেছেন রোহিঙ্গা বন্দীরা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জেদ্দায় সুমাইছি আটক কেন্দ্রে থাকা এসব রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যাওয়া ঠেকাতে অনশন করা ছাড়া তাদের ‘আর কোনও উপায় নেই।’
বৃহস্পতিবার মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জেদ্দায় অবস্থিত সুমাইছি বন্দিশালার রোহিঙ্গা কয়েদিরা বলেছেন, গত মাসে সৌদি আরব বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ায় তারাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ফলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া ঠেকাতে তাদের অনশন করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
বন্দিশালা থেকে ফাঁস হওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, অনশনকারী রোহিঙ্গা বন্দীরা তাদের জন্য বরাদ্দ প্রতিদিনের খাবার খেতে চাইছেন না। তাদের ফেরত দেওয়া খাবার মেঝেতে পড়ে আছে।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বন্দিশালার এক রোহিঙ্গা বন্দী মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপসহ বার্তাবহ অন্যান্য অ্যাপের সাহায্যে তারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনশন কর্মসূচি সংগঠিত করেছেন।
ওই রোহিঙ্গা বন্দী আরো বলেন, তারা অনশন শুরু করার পর তাঁদের কর্মসূচিতে ধীরে ধীরে লোকসংখ্যা বাড়তে থাকে। অনশনে অংশ নেওয়া এক বয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমরা জানি না, কত দিন অনশন করতে পারব। কারণ তারা (কর্তৃপক্ষ) আমাদের খাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
সৌদি আরবে গত গত চার মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রোহিঙ্গা বন্দীরা অনশন করছেন। রোহিঙ্গা বন্দীরা তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।