বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে হেরে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানে বেড়ে ওঠা সুমোর সর্বশেষ গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন। কিসেনোসাতো নামের ওই কুস্তিগীর জানিয়েছেন, ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে ইনজুরির সঙ্গে লড়ছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না।
বিবিসির খবরে জানানো হয়, কিসেনোসাতোই জাপানে জন্ম নেওয়া একমাত্র কুস্তিগির যিনি গত প্রায় দুই দশকের মধ্যে গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন পদমর্যাদা পান। এ সারির লোকজনকে জাপানে ‘ইয়োকোজোনা’ বলা হয়। জাপানি এই কুস্তিগীর ছাড়া এ পর্যায়ে থাকা অন্য দুজন মঙ্গোলিয়ার নাগরিক।
বিদায় বেলায় সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত কিসেনোসাতো বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, আমি সম্ভাব্য সবকিছু করেছি। আমি অনেক মানুষের সমর্থন পেয়েছি…কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ছাড়া আমার দেওয়ার মতো আর কিছুই নেই।’
অবসরের ঘোষণার পর বর্ষীয়ান সুমো কুস্তিগীরদের মতো আরায়সো নাম ধারণ করবেন কিসেনোসাতো। জীবনের এ সময়টাতে তিনি তরুণ কুস্তিগীরদের প্রশিক্ষণ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিসেনোসাতোর প্রকৃত নাম ইউতাকা হাগিওয়ারা। তিনি রাজধানী টোকিওর উত্তরের ইবারাকি এলাকায় বেড়ে ওঠেন। শৈশবে তিনি স্কুলের বেসবল ক্লাবে যুক্ত ছিলেন। পরে টোকিওতে কুস্তির ওপর প্রশিক্ষণ নেন।
৩২ বছর বয়সী এ কুস্তিগীরের আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয় ২০০২ সালে। ২০০৪ সালে ১৮ বছর বয়সে তিনি জাপানি সুমোর শীর্ষ বিভাগ মাকুচিতে জায়গা করে নেন।
কয়েকটি টুর্নামেন্টে রানার-আপ হওয়ার পর জয় আসে কিসেনোসাতোর। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাকে ইয়োকোজুনার মর্যাদা দেওয়া হয়। ওই বছরের মার্চে ইয়োকোজুনা হিসেবে প্রথম টুর্নামেন্টে জয়ী হন তিনি।
বুকে আঘাতের কারণে টানা আটটি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি কিসেনোসাতো। তিনিই ছিলেন সুমোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিরতি নেওয়া খেলোয়াড়। সুস্থ হয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আবার খেলায় ফেরেন। কিন্তু এরপর আটবারের হারের মুখ দেখেন তিনি। ১৯৪৯ সালে প্রতিযোগিতামূলকভাবে খেলাটি শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল কোনো গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়নের সবচেয়ে শোচনীয় পরাজয়।