নতুন গাড়ি কিনেছেন, তাই সেটি নিজে ড্রাইভ করার ইচ্ছা জাগাটাই স্বাভাবিক। নিজে ড্রাইভ করতে পারলে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ খাতে খরচ অনেকটাই কমে যায়। তবে ড্রাইভিং শেখার পর শুরুর দিকে কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে অনেকটাই। জেনে রাখুন সেগুলো—
রিয়ার ভিউ মিরর ঠিকঠাক
গাড়িতে ড্রাইভিং সিটে বসার পরই যে কাজটি করতে হবে, তা হচ্ছে রিয়ার ভিউ মিরর নিজের উচ্চতা অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হবে। এতে করে যাত্রাপথে পেছনের দিকে নজর রাখা সহজ হবে ও বারবার মিরর ঠিক করতে হবে না।
চাকা পরীক্ষা করতে হবে
গাড়িতে বসার আগেই গাড়ির সব টায়ার পরীক্ষা করে নিতে হবে। ড্রাইভিংয়ে একেবারেই নতুন হলে একটি প্লাস্টিকের বোতল খানিকটা চ্যাপ্টা করে নিন। এবার সেটাকে এমনভাবে রাখুন যেন গাড়ির চাকা ঘুরলে বোতলের ওপরে পড়ে। এবার ধীরে ধারে গাড়ি চালিয়ে যান বোতলের ওপর দিয়ে। এ সময় জানালা খোলা রাখুন যেন বোতল ভেঙে যাওয়ার শব্দ কানে পৌঁছে। এতে করে পথে গাড়ি চালানোর সময় চাকার নিচে কিছু পড়লে ও বন্ধুর পথে গাড়ি চালানো সহজ হয়ে যাবে।
বাঁধতে হবে সিটবেল্ট
নতুন বা পুরনো— যেটাই হোক না কেন গাড়িতে বসলেই বেঁধে নিতে হবে সিটবেল্ট। যদিও বেশির ভাগই সিটবেল্ট বাঁধেন না, তবে সড়কপথে নিরাপদ থাকতে অবশ্যই এ নিয়ম মেনে চলা জরুরি। গাড়ির ইঞ্জিন চালু হওয়ার আগেই নিশ্চিত করুন সিটবেল্ট বেঁধে আপনি ড্রাইভিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছেন।
হ্যান্ডব্রেক ব্যবহারে অভ্যস্ত হোন
সবসময় হ্যান্ডব্রেক ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। কারণ হ্যান্ডব্রেক নিয়মিত ব্যবহার না করলে তা কিছুদিন পর না-ও কাজ করতে পারে। জেনে রাখা ভালো পার্কিং ব্রেক বা হ্যান্ডব্রেকের কেবল এমনভাবে ডিজাইন করা যে, আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার না করেন, তাহলে এটা ধীরে ধীরে অচল হয়ে থাকবে।
স্টিয়ারিং হুইল ধরুন সঠিকভাবে
স্টিয়ারিং হুইল হচ্ছে একটি গাড়ির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কারণ এটি দ্বারাই গাড়ি পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে বড় রাস্তায় চলাচল করা ঠিক হবে না।
গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহার নয়
গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও মনোযোগ নষ্ট হয়, এমন কাজ করা থেকে সর্বদা বিরত থাকতে হবে। এসবের ফলে মুহূর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। ড্রাইভিং শেখার শুরুর দিকে পারলে জোরে সাউন্ড দিয়ে গান শোনাও রাখুন। আর হেডফোন কখনই ব্যবহার করা যাবে না।
ইন্ডিকেটর ব্যবহার করুন
নতুন ও পুরনো সব চালকেরই এ সমস্যা হয়। তবে ইন্ডিকেটর ব্যবহার আপনার পথে চলাচলে ব্যাপক সুবিধা দেবে। কারণ এটি ব্যবহার না করায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন।
জেনে রাখতে হবে কিছু বিষয়
গাড়ি চালাতে হলে কিছু মৌলিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে যেমন— ইঞ্জিন পরীক্ষা, টায়ার পরিবর্তন, গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। তাছাড়া নিয়মিত গাড়ি মেরামত কোথায় কোথায় করা যেতে পারে, সেসব স্থান সম্পর্কে সাধারণ ধারণা নিয়ে রাখা ভালো।
ট্রাফিক আইন মেনে চলুন
সাধারণত আমরা যে গাড়ি চালাই, তার গতি নির্ভর করে আমাদের সামনের গাড়ির গতিবিধির ওপর। সেজন্য ট্রাফিকের নির্দেশ মানলে চলার পথে সুবিধা হয়।
সূত্র: ব্রাইট সাইড