ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ থেকে ১৯২ জন ‘বাংলাদেশি’কে উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মেদান শহরের দোতলা একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
পার্শ্ববর্তী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রত্যাশায় তারা কয়েক মাস ধরে গাদাগাদি করে ওই বাড়িতে বাস করে আসছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার দেশটির পুলিশ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে তারা আসলে বাংলাদেশি নাকি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা তা নিশ্চিত করা হয়নি। যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশের বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি।
খবরে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা মনে করছেন, তারা নৌকায় করে সেখানে গেছে। আর সেখানে পর্যাপ্ত খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট ছিল।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, দোতলা ওই বাড়িটির মালিক কে আর এতগুলো লোককে সেখানে এভাবে রাখায় তাদের স্বার্থই বা কী তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মেদান শহরের প্রধান অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তা মোনাং শিহিতি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, তারা নৌকায় করে এখানে এসেছে। তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। আমরা এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রয়োজন আসে কি না সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ায় বেশ কিছু বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম দেশটিতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে।
২০১৫ সালে কয়েক শ রোহিঙ্গা মুসলিম দেশটির আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছায়। পরে মানবিক কারণে ইসলামিক ওই প্রদেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের স্বাগত জানায়।