বিশ্বের নানান দেশকে ঋণ দিয়ে বেড়ালেও যুক্তরাষ্ট্র নিজেও ঋণের দায়ে জর্জরিত। অতীতের রেকর্ড ভেঙে এ ঋণ দাঁড়িয়েছে এখন ২২ ট্রিলিয়ন (২২ লাখ কোটি) ডলারে। চাকরিজীবীদের অবসরভাতা ও স্বাস্থ্যসেবায় খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছর ঋণ বেড়ে এমনটা দাঁড়িয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, আগামী এক দশক প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন করে এ ঋণ আরও বাড়তে থাকবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
মঙ্গলবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দেশটির বর্তমান ঋণের পরিমাণ এখন ২২ ট্রিলিয়ন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সরকারি মোট বাজেটে ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, এ ঘাটতি এখন দুই ট্রিলিয়নেরও বেশি।
এদিকে কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) ২০১৯ অর্থবছরের জন্য ঘাটতি নির্ধারণ করছে ৮৯৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের তুলনায় এ ঘাটতি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিবিও জানায়, এ ঘাটতি ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন করে বাড়তে পারে। মূলত সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা সেবার কারণে এ ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফেডারেল বাজেট নির্ধারণের এক দলনিরপেক্ষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান জাড গ্রেগ এবং এডওয়ার্ড রেন্ডেল বলেন, ঋণের এ রেকর্ড আমাদের নেতাদের অক্ষমতারই প্রমাণ। তাদের কারণে এ ঋণের ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরবর্তী প্রজন্মকে এ ঘাটতিতে ফেলে যাবেন তারা।