কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনাকে ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ একই সঙ্গে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে৷
১৪ ফেব্রুয়ারি ৪০ জনের বেশি জওয়ানের রক্তে লাল হয়ে যায় সাদা তৃষারে ঢাকা কাশ্মীর৷ ঘটনার নিন্দায় প্রায় গোটা বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে ফোন আসে নয়াদিল্লিতে৷ সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন সকলে৷
এর আগে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষকর্তা রবার্ট পল্লাডিনো পুলওয়ামার হামলা নিন্দা করে ভারতকে সমর্থন করেন৷
ভারত শুরু থেকেই দাবি করে এসেছিল হামলার পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। সেই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ওই শীর্ষ কর্তা পাকিস্তানকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেন। এবার সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এই বার্তা আসায় পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
এদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে রেখেছি৷ অনেক রিপোর্টও পেয়েছি৷ ঠিক সময়ে এই নিয়ে যা বলার বলব৷ কিন্তু পাকিস্তান যদি ভারতে সহযোগিতা করে তাহলে সেটা খুবই ভালো হবে৷ নিঃসন্দেহে এটা ভয়াবহ জঙ্গি হামলা৷ সবই রিপোর্ট পাচ্ছি৷’’
পুলওয়ামা হামলার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতকে আত্মরক্ষার জন্য সমর্থন জানায় আমেরিকা। সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে শুক্রবারই এই সংক্রান্ত একটা বার্তা দিয়েছেন।
দুই অফিসারের মধ্যে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে কথোপকথন হয়। আলোচনায় মার্কিন অফিসার ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারে সমর্থন জানিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতিও আমেরিকার স্পষ্ট বার্তার কথা জানান জন বল্টন। হামলার পর থেকেই আমেরিকা বলে আসছে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বন্ধ করুক পাকিস্তান।
জনের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসের স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পিও জানান, সন্ত্রাসবাদকে শেষ করতে পাকিস্তানকে উদ্যোগ নিতে হবে। ট্যুইটারে মাইক লেখেন, সন্ত্রাস মোকাবিলায় আমরা ভারতের পাশে আছি। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার না করতে পারে তার ব্যবস্থা তাদেরকেই করতে হবে।