লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ‘যে কোনো সময় বের করে দেওয়া হবে’ বলে টুইটারে জানিয়েছে উইকিলিকস। অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করতে ইকুয়েডরের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের একটি চুক্তি হয়েছে বলে ওই টুইটে দাবি করা হয়। শুক্রবারের ওই টুইটে বলা হয়,“ইকুয়েডরের একজন শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা উইকিলিকসকে বলেছেন, আইএনএ পেপারস অফশোর স্ক্যান্ডেলকে অজুহাত বানিয়ে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যে কোনো সময় দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়া হবে।” রয়টার্স
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ গত সাত বছর ধরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে অবস্থান করছেন। এদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,অ্যাসাঞ্জকে ধরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঋণ মওকুফ চেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মোরেনো গত মঙ্গলবার স্থানীয় একটি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে তাদের দূতাবাসে অবস্থানের সময় ‘বারবার তাকে আশ্রয় দানের শর্ত লঙ্ঘন করেছন’।
তিনি বলেন, “কারো ব্যক্তিগত একাউন্ট হ্যাক বা ফোনে আড়ি পাতার অধিকার অ্যাসাঞ্জের নেই। অন্য দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অধিকারও নেই তার, বিশেষ করে ওইসব দেশের যাদের সঙ্গে ইকুয়েডরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।” সম্প্রতি মোরেনো ও তার পরিবারের একটি ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েক বছর আগে মোরেনো পরিবার নিয়ে যখন ইউরোপে বসবাস করতেন ছবিটি তখন তোলা।
অ্যাসাঞ্জকে বের করে দিতে তার সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে মোরেনো কোনো মন্তব্য করেননি। অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে উইকিলিকস থেকে ইমেইলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, উইকিলিকস মোরেনোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় প্রতিশোধ নিতে অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। “বিদেশে নিজের দুর্নীতির কেলেঙ্কারি ঢাকতে যদি প্রেসিডেন্ট মোরেনো একজন শরণার্থী প্রকাশকের সঙ্গে করা চুক্তি অবৈধভাবে বাতিল করে তবে ইতিহাস তাকে ক্ষমা করবে না।”
অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।