ফেনীর সোনাগাজীর দগ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করেছেন চিকিৎসকরা। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কাজ শুরু হয়ে ১২টায় শেষ হয় ময়নাতদন্ত। তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্তে অংশ নেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসিরুদ্দিন জানান, নুসরাতের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। দগ্ধ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন।
নুসরাতের ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত বোর্ডের প্রধান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও প্রভাষক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।
ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানান, ‘ডিপ বার্নে’র কারণেই যে নুসরাতের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তবে শরীরে আগুন দেওয়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তা জানতে মাইক্রোবায়োলজি এবং ডিএনএর পরীক্ষার জন্য কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম জানান, দগ্ধ অবস্থায় নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। এছাড়া রক্ত ও লাং ইনফেকশনের কারণে কার্ডিও রেসপাইরেটরি ফেইলিয়র হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।