ইসলামী শরিয়া আইন এবং স্থানীয় প্রথা ও ঐতিহ্যকেই দেশের নতুন আইনের উৎস হিসেবে রাখার পক্ষে মত দিয়েছে সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক কাউন্সিল।
এপ্রিলে দীর্ঘদিনের শাসক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সামরিক কাউন্সিলকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
তবে ইসলামী শরিয়া আইনের বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের সুস্পষ্ট নীরবতাসহ এসব প্রস্তাব সম্পর্কে বেশকিছু আপত্তি জানিয়েছে ১০ সদস্যের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল। এনিয়ে কাউন্সিল এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংলাপে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র লে. জেনারেল শামসেদ্দিন কাব্বাসি সাংবাদিকদের বলেন, বিক্ষোভকারীদের দেওয়া অধিকাংশ প্রস্তাবের সঙ্গেই তারা একমত।
তবে তিনি বলেন, প্রস্তাবনায় আইনের উৎস সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ইসলামী শরিয়া আইন এবং প্রথাগত ঐতিহ্যই হবে আইনের উৎস।
শামসেদ্দিন বলেন, “আমাদের মত হলো- ইসলামী শরিয়া এবং স্থানীয় প্রথাগত মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য হবে সুদান প্রজাতন্ত্রের আইনের উৎস।”
সুদানের বর্তমান সংবিধানে ইসলামী শরিয়াকে দেশটির পরিচালনা নীতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বশিরের শাসন আমলে এই আইনের অসামঞ্জস্য প্রয়োগ এবং কেবল নারীদেরই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ রয়েছে।