উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূলে শুক্রবার ভয়াবহ নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানোদের মধ্যে ৫১ জন বাংলাদেশি শরণার্থী রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনায় ৬৫ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) উদ্ধৃত করে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে। আইওএম নৌকাডুবির এই ঘটনাকে ভূমধ্যসাগরের ‘আরেকটি বিয়োগান্ত ঘটনা’ বলেছে। বলা
হয়েছে, জাহাজটি পার্শ্ববর্তী দেশ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ছেড়ে এসেছিল। সম্প্রতি সে দেশে সংঘাত জোরালো হয়েছে। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে লিবীয় ছাড়াও বাংলাদেশ ও মরক্কোর নাগরিকরা ছিল। তবে নৌকাটিতে ঠিক কতজন বাংলাদেশি বা কোন দেশের কতজন নাগরিক ছিল তা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে যান। মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে।
তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএপির বলেছে, নৌকাটিতে ৭০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন। সি ফ্যাক্স উপকূলের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে এটি ডুবে যায়। দেশটির রাজধানী তিউনিস থেকে ওই স্থানের দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মর্মান্তিক ওই নৌকাডুবির পর অভিবাসীদের উদ্ধারে একটি মাছ ধরার নৌযান নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিউনিস নৌবাহিনী। তারা জীবিতদের পাশাপাশি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাডুবির শিকার যাত্রীরা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।