মুসলিমবিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রীলঙ্কায় সোমবার রাতে কারফিউ জারি করা হয়। এরই মাঝে কিছু জায়গায় মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানায়, সহিংসতায় একজন মারা গেছেন।
উত্তর-পশ্চিমের পুত্তালাম জেলায় ক্রুদ্ধ জনগণ দোকানে আক্রমণ করার পর ছুরিকাঘাতে ওই মুসলিম ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
কয়েক দিন আগে ইস্টার সানডে’তে শ্রীলঙ্কার কয়েকটি গির্জা ও অভিজাত হোটেলে একযোগে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। হামলার পর থেকেই দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ওই হামলার তদন্তকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে সাত ঘণ্টা ধরে বলবৎ ছিল রাত্রিকালীন কারফিউ।
এরই মাঝে শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর কিনিয়ামায় একটি মসজিদের দরজা-জানালা ভাঙচুর করেছে আক্রমণকারীরা। পবিত্র কোরআনের কয়েকটি কপিও মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, মসজিদের ভবনের তল্লাশির দাবি জানিয়ে জনতা সেখানেও পুলিশি অভিযানের দাবি ওঠালে তারই একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার আগে মসজিদের নিকটস্থ একটি জলাশয়ে অস্ত্র আছে কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকে এক ব্যক্তির দেওয়া বিতর্কিত একটি পোস্টের পর খ্রিষ্টান-প্রধান শহর চিলৌতে মুসলিমদের কিছু দোকান ও মসজিদে আক্রমণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ৩৮ বছর বয়সী সেই মুসলিম ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়।
হেট্টিপোলা শহরেও তিনটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরও কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।