তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হলো ‘বিতর্কিত’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এখন থেকে এ বিলটি ভারতের আইনে পরিণত হলো। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের রাজ্যসভায় এ বিলটি পেশ করেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহা। দিনভর উত্তপ্ত বিতর্কের পর ১২৫-১০৫ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাস হয় রাজ্যসভায়।
রাজ্যসভায় বিলটির সমর্থনে নিজের বক্তব্যে অমিত সাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ধর্মীয় প্রতারণা হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার সব ধর্মীয় সংখ্যালঘু শরণার্থীদের অধিকার দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের মুসলিমদের এ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এই আইনে বাইরের দেশগুলোর সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, কারো নাগরিকত্ব হরণ করা হবে না।’
তবে দিনভর বিলটির কঠোর সমালোচনা করেন বিরোধী ইউপিএ জোটের সদস্যরা। এছাড়া বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কিছু সদস্য দলের সংসদ সদস্যরাও এ বিলের বিরোধিতা করেন। ভোটের ঠিক আগে ওয়াক আউট করে শিব সেনা। এর আগে লোকসভায় বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলো শিব সেনা। তবে সোমবার ওয়াক আউট করলেও রাজ্যসভায় বিলের বিপক্ষে ভোট দেননি দলটির সদস্যরা।
এদিকে, এ বিলের প্রতিবাদে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট চলছে। এ ধর্মঘট ঠেকাতে গৌহাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে করা হয়েছে সেনা মোতায়েন। ভারতের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আসামে অন্তত এক হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া, ত্রিপুরায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।