দীর্ঘদিন ধরে মন্থর অর্থনীতি নিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে জাপান। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে একাধিক প্রণোদনা কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। কিন্তু প্রবৃদ্ধি বিপর্যয় ও মন্থর বৈশ্বিক চাহিদায় ক্ষতিগ্রস্ত রফতানির প্রভাব অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ছড়িয়ে পড়ায় একটি সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে জাপান সরকারের এসব প্রণোদনা কর্মসূচি। খবর রয়টার্স।
জাপানের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যেসব পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন তা ‘আবেনমিকস’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু শ্লথগতি এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে ২০২০ সালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটির প্রবৃদ্ধি উদ্দীপ্ত করতে হলে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোনো অভিনব উপায় খুঁজে নিতে হবে। এদিকে প্রায় সব ধরনের নীতি অস্ত্র গ্রহণ করে ফেলায় এদিক থেকেও শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
ব্যাংক অব জাপানের চলতি মাসের একটি জরিপ অনুসারে, উৎপাদন স্থবিরতায় এরই মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং শ্রমবাজার শীতল হয়ে পড়েছে। শ্রমবাজার আরো শিথিল হলে মজুরি প্রবৃদ্ধি দুর্বল হবে এবং এর ফলে ভোক্তা ব্যয়ের প্রধান চালিকাশক্তি হুমকির মুখে পড়বে।
বিক্রয় কর বৃদ্ধি ও ২০১২ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কর রাজস্ব বৃদ্ধির পরও শিনজো আবে সর্বশেষ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যা তার আয়কর বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার কৌশল এবং ব্যাংক অব জাপানের নিম্ন সুদহার নীতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।