তিব্বতেও একজন ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চীনের প্রায় সর্বত্রই এ ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেল। এখন এটাও পরিষ্কার হলো যে, চীনের শুধু ঘনবসতিপূর্ণ শহরাঞ্চলেই নয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও এখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আজ এক দিনের ব্যবধানে ৩০ শতাংশ বেড়ে দেড় হাজার হয়েছে । চীনে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৭ হাজার ৭শ ১১ জন।
এ পরিস্থিতিতে অবরুদ্ধ উহান থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। গত বুধবার ২শ নাগরিককে বিশেষ ফ্লাইটে ফিরিয়ে নিয়েছে জাপান। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন আরও নয়জন। আগ্রহী নাগরিকদের দেশে ফেরাতে অন্তত আরও একটি বিশেষ বিমান পাঠানো হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, প্রথম ফ্লাইটে দেশে ফেরাদের মধ্যে অন্তত তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও তাদের দু’জনের শরীরে কোনো ধরনের উপসর্গ ছিল না। এছাড়া, দ্বিতীয় ফ্লাইটে ফেরা নয়জনই জ্বর-কাশির মতো অসুস্থতায় ভুগছেন।
চীন ফেরত সবাইকেই হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে রেখে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলোর ফলাফল না আসা পর্যন্ত তাদের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার করনাভাইরাসে দ্বিতীয় এক ব্যক্তি আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি চীনের হুয়ান নগরী থেকে জাপান ফিরেছেন। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আক্রান্তের শিকার ৪০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি হুয়ানের যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেখানে এই ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে, তিনি ১৯ জানুয়ারি জাপানে ফিরে আসেন। তিনি জানান, জাপান পৌঁছানোর আগে বেশ কিছুদিন ধরে তার জ্বর ছিল, তবে পৌঁছানোর পর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, ২২ জানুয়ারি জ্বরের কারণে টোকিও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি জানান, জাপান পৌঁছানোর আগে বেশ কিছুদিন ধরে তার জ্বর ছিল, তবে পৌঁছানোর পর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, ২২ জানুয়ারি জ্বরের কারণে টোকিও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই ভাইরাসে চীনের ২০ মিলিয়ন লোক আক্রান্তের ঝুঁকিতে ।