নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে গোটা চীনে। এখন পর্যন্ত ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৬১ জন। দেশটির বাইরে মৃত্যু একমাত্র ব্যক্তি ফিলিপাইনি নাগরিক।
ভাইরাসটি আঘাত হেনেছে হংকংও। সংক্রমণ ঘটিয়েছে অনেক চীনের অধীন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতেও। এখন পর্যন্ত ১৫ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে চীনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নাগরিকদের ওপর ভিসা কড়াকড়ি আরোপ করেছে আরও বেশ কয়েকটি দেশ। এবার চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে হংকংয়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বিবিসি জানায়, তবে অঞ্চলটির স্বাস্থ্যকর্মীরা চীনের সঙ্গে পুরো সীমান্ত বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে। তাদের মতে, চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ না করলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে ৭০ লাখ বাসিন্দার গোটা হংকংকে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের নতুন একটি ইউনিয়ন হসপিটাল অথরোটি এমপ্লয়িজ অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান উইনি ইইউ বলেন, চীনের সঙ্গে পুরো সীমান্ত বন্ধ না করলে এখানেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাবে। এখানে ভাইরাস মোকাবিলায় পর্যাপ্ত কর্মী নেই, প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি নেই এমনকি সুরক্ষা দেয়ার মতো আলাদা রুমও নেই।
সোমবার থেকে কয়েকশ স্বাস্থ্যকর্মী বিক্ষোভে নামে। ইউনিয়নটি জানায়, ডাক্তার এবং নার্সসহ হাসপাতালের সামনের সারির কর্মীরা এই বিক্ষোভে আছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। কর্তৃপক্ষ দাবি না মানলে নতুন কর্মসূচিতে যাবেন তারা।
ইতিমধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের সঙ্গে রেল ও ফেরি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে হংকং। তবে কর্তৃপক্ষের মতে, চীনের সঙ্গে পুরো সীমান্ত বন্ধের দাবি ভাইরাস মোকাবিলা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) সুপারিশমালার বিরুদ্ধে।