দুর্বল হয়ে পড়া জাপানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে নভেল করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় নীতিগত পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
গত শুক্রবার তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত যেকোনো জরুরি ব্যয়ের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। ফলে এখনই এ বিষয়ে নতুন করে ব্যয় পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজন নেই। খবর জপান টুডে।
শিনজো আবে বলেন, ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে আমি অবগত। ফলে খুব সতর্কতার সঙ্গে ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পরিস্থিতি কোনোভাবে খারাপের দিকে যায়, তাহলে এটি যাতে জাপানের অর্থনীতিতে মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি না করে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করা হবে।
বৈশ্বিক চাহিদার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও ব্যবসায় ব্যয় কমে যাওয়ায় ডিসেম্বর প্রান্তিকে গত ছয় বছরের মধ্যে জাপানের অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ সংকোচন দেখা দেয়।
কিছু বিশ্লেষক বলছেন, চলতি প্রান্তিকেও অর্থনীতিটি ফের সংকোচনের মধ্যে তো পড়বেই, মন্দাও দেখা দেবে। কারণ এরই মধ্যে পণ্য সরবরাহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব পড়ছে, বাতিল হয়ে যাচ্ছে বহু ব্যবসায়িক আয়োজন, ক্রেতারাও উদ্যম হারিয়ে ফেলেছেন।
অর্থমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা বলেন, এটা সত্যি যে বেশকিছু ব্যবসায়িক আয়োজন বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে জপানের অর্থনীতি বেশ কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমরা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।