কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। রাজশাহীতে বোনের ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে।
এন্ড্রু কিশোরের ভগ্নিপতি ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস সোমবার সকালে বলেন, “সাংবাদিকেরা অনেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কথা বলার মতো মানসিক অবস্থায় আমরা এখন নেই। দাদার অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’। এখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর উপায় নেই। এখানে আমাদের বাসা ও ক্লিনিক একসঙ্গে। তাই এখানেই অক্সিজেন দিয়ে রেখেছি।”
ভুল তথ্য না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বিপুল বলেন, “ভালো-মন্দ যা–ই ঘটুক আমরাই জানাব। আমরা মানসিকভাবে এমনিতে ভালো নেই, কোনো গুজব ছড়াবেন না।”
এ দিকে শিল্পীর অস্ট্রেলিয়ায় থাকা দুই ছেলে-মেয়ে দেশে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট পাওয়াটাও বেশ কষ্টসাধ্য। সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন এন্ড্র কিশোরের দুই সন্তান। টিকিট পাওয়ামাত্রই তারা দেশে ফিরবেন।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন এই সংগীতশিল্পী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীন চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে কয়েক মাস একনাগাড়ে চিকিৎসা চলে।
কিছুদিন আগে এন্ড্রু কিশোর দেশে ফেরেন। এরপর চলে যান জন্মস্থান রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশোর।
এন্ড্রু কিশোর বাংলাদেশে ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত। কয়েক হাজার সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙের ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা, সবাই তো ভালোবাসা চায় প্রভৃতি।