গতবছরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে মাত্র ৮ মাসেই আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮১ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ লাখ ১৯ হাজার ৭১৫ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৫ জনের শরীরে।
শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৯ জন। এদের মধ্যে ৭০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৬০ হাজার ৮৯৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪২১ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ এ। আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৮ জন।
সংক্রমণ এবং মৃত্যুর তালিকায় ব্রাজিলের পরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের অবস্থান। দেশটির ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৪ জন এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭৭ হাজার ৫০৬ জন। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকোতেও কোভিড ১৯ এ ৭০ হাজার ১৮৩ জনের প্রাণ গেছে।
পৃথিবীর মানচিত্রের সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে থাকা ইউরেশিয়ান দেশ রাশিয়াতেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৪ জনের।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ১৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪,৬৬৮ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৪ জন।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।