করোনাভাইরাস মহামারী শুধু মানুষের জীবন বিপন্নই করেনি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানি এবং স্টোরগুলোর টিকে থাকার লড়াই অসম্ভব করে দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে জাপানে এমনতর পাঁচ শতাধিক কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। বেসরকারি একটি ক্রেডিট রিসার্চ ফার্মের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর মাইনিচি।
টোকিও শকো রিসার্চ লিমিটেডের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ জাপানে দেউলিয়া হওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি দেউলিয়াত্ব দেখা গেছে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে। ওই সময়ে প্রায় ৭০টি রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে দেউলিয়াত্ব বরণ করেছে। অস্থায়ীভাবে রিটেইল স্টোরগুলো বন্ধ হওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পোশাক শিল্প। সেখানে ৫৪টি স্টোর ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।
টেইককো ডাটাব্যাংক লিমিটেডের উপাত্তেও পাঁচ শতাধিক কোম্পানির দেউলিয়াত্বের তথ্য উঠে এসেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রশাসন মালিক ও কর্মীদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে, যদিও তিনি বলেছিলেন যে রাজনীতির দায়বদ্ধতা হচ্ছে কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা। করপোরেট বিপর্যয় থেকে রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার চিহ্নিত করে জরুরি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
টোকিও উপকণ্ঠস্থ শহর চফুর একটি ফরাসি রেস্তোরাঁর মালিক দুঃখ নিয়ে বলেন, আমি কিচেনে কাজ করতে পারছি না এবং ব্যবসায় উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলেছি। ৬৯ বছর বয়সী এ জাপানি ভদ্রলোক মার্চের শেষের দিকে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি ও দেশব্যাপী লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে রেস্তোরাঁটি স্থায়ীভাবেই বন্ধ করে দেন। নিজের রেস্তোরাঁকে খুব পছন্দ করতেন এবং ৪৫ বছর ধরে সেবা দেয়া নিয়ে গর্ব করতেন।