চীন শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘু নিপীড়নের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন আরও ৩৮০টি বন্দিশিবিরের সন্ধান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই)। খবর বিবিসি।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা।
এদিকে, উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক নিন্দা এবং চাপের মধ্যেও চীন বন্দিশিবিরের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে।
যদিও, চীনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, তারা উইঘুরদের মুক্তি এবং দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) বলছে, শিনজিয়াংয়ে আনুমানিক ৩৮০ টি বন্দিশিবির আছে। যা আগের ধারণার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে বিবিসি জানিয়েছে, আগের তদন্তে বন্দিশিবিরের যে আনুমানিক হিসাব করা হয়েছিল, তার চেয়ে আরও ১শ’টি বেশি বন্দিশিবির পাওয়ার কথা বলা হয়েছে এএসপিআই-এর প্রতিবেদনে।
এছাড়াও স্যাটেলাইটে তোলা ছবি, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সরকারি নথি বিশ্লেষণ করে এই শিবিরগুলোর অস্তিত্ত্ব চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ৬১ টি বন্দিশিবির বাড়ানো হয়েছে। আরও ১৪ টি শিবিরের নির্মাণকাজ এখনও চলছে।
অপরদিকে, চীন এই বন্দিশিবিরগুলোকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে দাবি করে আসছে। তাদের ভাষ্য, শিনজিয়াংয়ে দারিদ্র্য এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলায় এইসব কেন্দ্রে মূলত জাতীয়তাবাদ ও আদর্শের দীক্ষা দেওয়া এবং চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হয়।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র এই কেন্দ্রগুলোকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গেই তুলনা করেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও বলছে, অন্তত ১০ লাখ উইঘুর ও অন্যান্য তুর্কিভাষী-মুসলিম অধিবাসীদের এই সমস্ত আটককেন্দ্রে বন্দি করে রাখা হয়েছে।