গত আগস্টে জাপানের বেকারত্ব হার দাঁড়িয়েছে ৩ শতাংশ, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। নভেল করোনাভাইরাস মহামারী যে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর প্রভাব রাখছে, তা শুক্রবার প্রকাশিত এ সরকারি উপাত্তে উঠে এসেছে। খবর কিয়োদো।
মিনিস্ট্রি অব ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস জানায়, আগস্টে বেকারত্ব হার ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জুলাইয়ে তা ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দুই মাস বেকারত্ব হার বাড়ল এবং তা ২০১৭ সালের মে মাসের ৩ দশমিক ১ শতাংশের কাছাকাছি চলে এল।
মাৈসুমভিত্তিক সমন্বয়ের আগে বেকারদের সংখ্যা ৪ লাখ ৯০ হাজার বেড়ে ২০ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালের মে মাসের পর এই প্রথম দেশটির বেকারের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়াল।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের পৃথক উপাত্তে দেখা গেছে, আগস্টে জব অ্যাভেইলেবিলিটি রেশিও পূর্ববর্তী মাসের ১ দশমিক শূন্য ৮ থেকে কমে ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে প্রতি ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর বিপরীতে ১০৪টি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে টানা আট মাস এ হার কমেছে এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারির পর তা সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।
সর্বশেষ এ উপাত্তে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভোক্তাব্যয়ে পতন এবং কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মী বহর কমাচ্ছে। অন্যদিকে দেশটিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তীব্র শ্রমিক সংকটে পড়েছে দেশটি। অবশ্য জাপানের ৩ শতাংশ বেকারত্ব হার বিশ্বের অন্যান্য অগ্রসর অর্থনীতির তুলনায় বেশ সহনীয়।
মহামারী নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা কার্যকরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি গত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে ২৮ দশমিক ১ শতাংশ।
খাতওয়ারি আবাসন ও রেস্তোরাঁ সেবা খাতে ২ লাখ ৮০ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে চাকরি হারিয়েছেন ৫ লাখ ২০ হাজার।
মৌসুমভিত্তিক সমন্বয়কৃত উপাত্তে দেখা গেছে, বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৭ লাখ ১০ হাজার স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন। অন্যদিকে ৫ লাখ ৯০ হাজার ছাঁটাই হয়েছেন।