ইউরোপে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে হিমশিম খাওয়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোকে এখন ফের কঠোর বিধিনিষেধ দিতে হচ্ছে। ইংল্যান্ডজুড়ে তিন স্তরের বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্র এরই মধ্যে তিন সপ্তাহের আংশিক লকডাউন আরোপ করে স্কুল, বার ও ক্লাবগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসেও আংশিক লকডাউন দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের যাতায়াত আছে এমন সব বদ্ধ জায়গায় মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। খবর: বিবিসি।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে। আগামী সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই প্যারিসের হাসপাতালগুলোয় যত নিবিড় পরিচর্যা শয্যা আছে তার ৯০ শতাংশই পূরণ হয়ে যেতে পারে বলে দেশটির সরকারি হাসপাতালগুলোর গ্রুপ এপিএইচপির প্রধান মার্টিন হার্শ সতর্ক করেছেন।
মহামারি কভিড-১৯-এর বিস্তার ঠেকাতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ইংল্যান্ডজুড়ে তিন স্তরের বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকায় নি¤œ তথা মাঝারি পর্যায়ের বিধিনিষেধ চালু হলেও উত্তর ইংল্যান্ড ও মিডল্যান্ডে কয়েক মিলিয়ন মানুষের পারিবারিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করা ছাড়াও জারি করা হয়েছে অতিরিক্ত কিছু বিধিনিষেধ। সবচেয়ে কঠোর অর্থাৎ সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধ জারি হয়েছে লিভারপুল অঞ্চলে। অঞ্চলটির যেসব বার ও পাবস খাবার সরবরাহ করে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেটার ম্যানচেস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ার এবং আরও কিছু অঞ্চলে কঠোর অর্থাৎ সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধ জারি করা যায় কি না, তা নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এ ছাড়া উচ্চ পর্যায়ের বিধিনিষেধ জারি রয়েছে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিমের বেশিরভাগ এলাকা ও মিডল্যান্ডের কিছু এলাকায়। এসব অঞ্চলে এক পরিবার অন্য পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।