ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, লন্ডন অ্যাম্বাসি থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়া হয়েছে শরণার্থী নিয়মনীতি ভঙ্গের কারণে। অ্যাসাঞ্জ অ্যাম্বাসি কক্ষে বসে গুপ্তচরবৃত্তির কলকব্জা নাড়তেন। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাসাঞ্জের শরীর-স্বাস্থ্যও ভালো যাচ্ছিলো না।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ তুলেন মোরেনো। তবে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেনিয়ার রবিনসন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, অ্যাম্বাসিতে পুলিশ ঢুকিয়ে অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট এ ধরনের কথা বলছেন।
লেনিন মোরেনো আরও বলেন, আশ্রয় থেকে অ্যাসাঞ্জকে বের করে দেওয়ায় বাইরের কোনো দেশের চাপ ছিল না। তার আগের সরকার অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিতে অ্যাসাঞ্জকে আশ্রয় দিয়েছিল। তিনি অন্য কোনো দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে অস্থির করার সুযোগ কাউকে করে দিতে পারেন না।
সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার এড়াতে তৎকালীন ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেরা তার দেশের লন্ডন অ্যাম্বাসিতে ২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জকে থাকার সুযোগ করে দেন। সে থেকেই লন্ডনের ইকুয়েডর অ্যাম্বাসিতে শরণার্থীর আশ্রয়ে থাকছেন অ্যাসাঞ্জ। প্রায় সাত বছর ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে শরণার্থীর আশ্রয়ে ছিলেন তিনি।
তবে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলায়। বর্তমান ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি অ্যাসাঞ্জের শরণার্থী মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিলে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় লন্ডন পুলিশের।
অ্যসাঞ্জ জামিন নিয়ম না মেনে চলায় লন্ডনে তার এক বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া, রয়েছে তাকে সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাকে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি। এদিকে অ্যাসাঞ্জের ঘটনায় সরব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে অ্যাসাঞ্জকে হয়রানি করছে।